
কিছু চমৎকার বুদ্ধির ধাঁধা (puzzle) ও তাদের উত্তর সহ দেওয়া হলো। এগুলোর মাধ্যমে আপনি যেমন আপনার চিন্তাশক্তি বাড়াতে পারবেন, তেমনি অন্যদেরও ভাবতে বাধ্য করবেন। প্রতিটি ধাঁধার পরেই রয়েছে সঠিক উত্তর, যাতে আপনি নিজেই যাচাই করতে পারেন।
সহজ বুদ্ধির ধাঁধা
১. এমন কী জিনিস, একবার গেলে আর ফিরে আসে না?
উত্তর: সময়
২. এমন কী জিনিস, তোমার কিন্তু তুমি সেটা দেখতে পারো না?
উত্তর: নিজের চোখ
৩. সবসময় সামনে থাকে, কিন্তু দেখা যায় না।
উত্তর: ভবিষ্যৎ
৪. কোন জিনিস ভাঙলে পানি পড়ে?
উত্তর: ডিম
৫. এমন একটি জিনিস, হাত থাকলেও ধরতে পারে না।
উত্তর: ঘড়ি
৬. কোন জিনিস তোমার নিজের, কিন্তু অন্যরা বেশি ব্যবহার করে?
উত্তর: নাম
৭. কোন জিনিস যত বেশি নাও, তত হালকা হয়?
উত্তর: নিঃশ্বাস
৮. আমাকে না ছুঁইলে আমি তোমাকে ছুঁই না, কিন্তু একবার ছুঁলেই কাঁপাবে!
উত্তর: বিদ্যুৎ
৯. কোন জিনিস রাতের বেলায় দেখা যায়, দিনের বেলায় লুকিয়ে থাকে?
উত্তর: চাঁদ
১০. আমার দুইটি পা আছে, কিন্তু আমি হাঁটতে পারি না।
উত্তর: টেবিল
১১. এমন একটি নদী, যার পানি নেই!
উত্তর: মানচিত্রের নদী
১২. আমি চলি কিন্তু পা নেই, বলি কিন্তু মুখ নেই। আমি কে?
উত্তর: ঘড়ি
১৩. এমন এক ঘর, যার দরজা-জানালা কিছুই নেই?
উত্তর: ডিম
১৪. এমন এক জিনিস যা ভাঙলেও আওয়াজ হয় না।
উত্তর: নীরবতা
১৫. কোন মাসে ২৮ দিন থাকে?
উত্তর: সব মাসেই
১৬. এমন একটা জিনিস, তুমি যত বড় করো তত হালকা হয়।
উত্তর: গর্ত
১৭. আমি ঘুরে বেড়াই সবখানে, কিন্তু এক জায়গা ছেড়ে যেতে পারি না।
উত্তর: কম্পাসের কাঁটা
১৮. এমন একটি জিনিস, যা ভেজালে শুকায়।
উত্তর: তোয়ালে
১৯. কোন জিনিস উপরে উঠলেও সবসময় নিচে তাকিয়ে থাকে?
উত্তর: সিঁড়ি
২০. এমন একটি জিনিস, যা আগে কালো ছিল, এখন লাল হয়, পরে ছাই হয়ে যায়।
উত্তর: কয়লা
২১. আমি দেখাতে পারি ভবিষ্যৎ, কিন্তু তা শুধু একরকমেই।
উত্তর: আয়না
২২. কীসের মুখ আছে, কিন্তু খায় না?
উত্তর: নদী
২৩. কীসের দাঁত আছে, কিন্তু কামড়ায় না?
উত্তর: চিরুনি
২৪. আমি আকাশে থাকি, কিন্তু আমি আগুনের মত জ্বলি না।
উত্তর: মেঘ
২৫. কোন জিনিস দিনের আলোতেই উধাও হয়ে যায়?
উত্তর: তারা
মাঝারি স্তরের বুদ্ধির ধাঁধা
২৬. আমি উড়ি কিন্তু পাখি নই, গুনগুন করি কিন্তু মৌমাছি নই।
উত্তর: বিমান
২৭. কোন জিনিস ভাঙলে লোক খুশি হয়?
উত্তর: উপবাস
২৮. আমি না থাকলে ঘর অন্ধকার, আমি এলে আলো হয়।
উত্তর: বাতি
২৯. কোন গাছ কাঁঠাল দেয় না, আমও দেয় না, কিন্তু নাম শুনলে মনে হয় ফল দেয়?
উত্তর: ফলগাছ (কেবল নামেই ফলগাছ)
৩০. আমাকে যত নাও, তত কম হয়!
উত্তর: নিঃশ্বাস
৩১. এমন একটি জিনিস, গায়ে গাছ, ভিতরে ঘর।
উত্তর: নারকেল
৩২. আমি সবার আগে আসি, সবশেষে যাই।
উত্তর: অক্ষর “আ”
৩৩. আমি পড়ি, কিন্তু বই নই।
উত্তর: বৃষ্টি
৩৪. আমি সাদা, কিন্তু তুষার নই। ঠান্ডা করি, কিন্তু বরফ নই।
উত্তর: ফ্রিজ
৩৫. আমি চলি না, কিন্তু আমার গায়ে সবাই হাঁটে।
উত্তর: রাস্তা
৩৬. আমি উঠি কিন্তু কখনো নামি না।
উত্তর: বয়স
৩৭. আমাকে কেউ খায় না, কিন্তু সবাই গিলে ফেলে।
উত্তর: অপমান
৩৮. আমি সব কিছু কাটতে পারি, কিন্তু রক্ত ঝরাই না।
উত্তর: কথা
৩৯. আমি পাথর হতে পারি, কিন্তু আমি অনুভব জাগাই।
উত্তর: চোখের জল
৪০. এমন একটি জিনিস, তোমার চুলে বসে, কিন্তু পাখি না।
উত্তর: চিরুনি
৪১. ঘর আছে, লোক নেই; জানালা আছে, বাতাস ঢোকে না।
উত্তর: বই
৪২. আমি নিজে সাদা, কিন্তু কালো করে ফেলি।
উত্তর: চক
৪৩. এমন একটি জিনিস যা তুমি একাই নিতে পারো, কিন্তু ফিরিয়ে দিতে পারো না।
উত্তর: সময়
৪৪. আমি সবসময় তোমার সঙ্গে থাকি, কিন্তু তুমি আমায় কখনো ধরতে পারো না।
উত্তর: ছায়া
৪৫. কোন পাখি মাথা নাড়ে না, ডানা ঝাপটায় না, তবুও আকাশে ওড়ে?
উত্তর: কাগজের পাখা
৪৬. আমি কাঁদি না, তবুও জল পড়ে।
উত্তর: কলস
৪৭. কীসের গায়ে অনেক পাতা, কিন্তু গাছ নয়?
উত্তর: বই
৪৮. কীসের মাথা আছে, লেজ আছে, কিন্তু শরীর নেই?
উত্তর: মুদ্রা
৪৯. কোন জিনিস সকালবেলা চার পায়ে চলে, দুপুরে দুই পায়ে, আর সন্ধ্যায় তিন পায়ে?
উত্তর: মানুষ (শিশু, প্রাপ্তবয়স্ক, বৃদ্ধ)
৫০. আমাকে না দেখলে তুমি বোঝ না, আমি থাকলেও অনেকে অন্ধ।
উত্তর: জ্ঞান
৫১. কোন জিনিস উল্টো পড়লেও একই থাকে?
উত্তর: নাম “মাম”
৫২. আমি একাই থাকি, দুই হলে আমি আর আমি থাকি না।
উত্তর: একাকীত্ব
৫৩. আমি জলে ডুবে মরি না, আগুনে জ্বলি না।
উত্তর: পাথর
৫৪. আমাকে না দিলে তুমি শান্তি পাও না, কিন্তু বেশি দিলে বিপদ হয়।
উত্তর: কথা
৫৫. আমি একাই কিছু না, কিন্তু সবাই মিলে আমি সবার উপরে।
উত্তর: দল
৫৬. কোন জিনিস যত কমাও, তত বাড়ে?
উত্তর: ভুল
৫৭. আমি পা ছাড়া চলি, কিন্তু থেমে গেলে সবাই চিনে ফেলে।
উত্তর: বাতাস
৫৮. আমি পৃথিবীতে আসি, কিন্তু দেখা যাই না।
উত্তর: চিন্তা
৫৯. আমি ছোট, তবে আমার শক্তি বিশাল। আমি কে?
উত্তর: পেরেক
৬০. কী জিনিস ছাড়া মানুষ বাঁচে না, কিন্তু দেখা যায় না?
উত্তর: বাতাস
৬১. পিঠে করে ঘর নিয়ে চলে, কে সে ভাই বল তো বলে?
উত্তর: কাছিম
৬২. লেজ আছে, মাথা আছে, নেই কোনো দেহ; এটি কী?
উত্তর: কয়েন
৬৩. হাঁটতে জানে না, দৌড়াতে জানে না, তবুও সবকিছু পার করে।
উত্তর: সময়
৬৪. দিন নেই, রাত নেই, সব সময় আলো জ্বলে।
উত্তর: বাল্ব
৬৫. কাগজের গায়ে কালি দিয়ে চলে, আমি কে?
উত্তর: কলম
৬৬. আমি কাঁপলে তুমি জেগে উঠো, আমি না থাকলে তুমি ঘুমাও।
উত্তর: অ্যালার্ম
৬৭. আমি ছোট, চৌকোনা, জ্ঞান ভরা আমার গায়ে।
উত্তর: বই
৬৮. ছোট ছোট দাঁত, কেবলই খায়, কিন্তু কোনো কিছু হজম করে না।
উত্তর: করাত
৬৯. খায় না, দায় না, কেবলই নড়ে চড়ে।
উত্তর: পাখা
৭০. সকালে সূর্য ওঠে, বিকেলে হারায়, আমি কখনো হারাই না।
উত্তর: সময়
৭১. আমি যখন আসি, আলো চলে যায়। আমি কে?
উত্তর: অন্ধকার
৭২. আমি উঠি ছাড়া পড়ি না, আমি কে?
উত্তর: সূর্য
৭৩. আমি ঝরে পড়লে সবাই দৌড়ায়, আমি কে?
উত্তর: বৃষ্টি
৭৪. আমাকে মারলে, আমি আরও শক্তিশালী হই।
উত্তর: লোহা (ঘষে ধার দিলে তীক্ষ্ণ হয়)
৭৫. আমি পকেট ভরলেও হালকা, কিন্তু অনেকের কাছে দামী।
উত্তর: চিঠি
চতুর বুদ্ধির ধাঁধা
৭৬. কোন জিনিসের সামনে গেলে পেছনে যেতে হয়?
উত্তর: আয়না
৭৭. এমন এক ঘর, যার ছাদ আছে, দেয়াল নেই।
উত্তর: ছাতা
৭৮. কাগজে জন্ম, লেখাই কাজ, ভুল করলে কাটাকাটি।
উত্তর: কলম
৭৯. নিজের চোখে নিজেকে দেখা যায় না, আমি কে?
উত্তর: চোখ
৮০. আমি যত দূর যাই, আমার পিছনে ততই আঁধার।
উত্তর: সূর্য
৮১. আমি হইলে তুমি খুশি, আমি না হইলে তুমি বিষণ্ন।
উত্তর: হাসি
৮২. আমি একাই চলি, কিন্তু আমার কারণে হাজারো চলে।
উত্তর: ট্রেন
৮৩. আমি গাছ না, তবুও পাতা আছে।
উত্তর: বই
৮৪. দিন দিন কেবল বাড়ে, পিছু হটতে জানে না।
উত্তর: বয়স
৮৫. খেলে খুশি, বেশি খেলেই কষ্ট।
উত্তর: আগুন
৮৬. আমাকে না জানলে, জীবন অন্ধকার।
উত্তর: শিক্ষা
৮৭. গায়ে আগুন জ্বলে, তবু পোড়ে না।
উত্তর: মোমবাতি
৮৮. আমি শুকালে তুমি খুশি হও, আমি ভিজলে তুমি দুঃখ পাও।
উত্তর: কাপড়
৮৯. মুখ আছে, মুখ খুললে শব্দ বের হয়, কিন্তু মানুষ নয়।
উত্তর: রেডিও
৯০. আমি ছোট্ট, কিন্তু কান কেটে ফেলি।
উত্তর: সূঁচ
৯১. পানি নেই, তবু জাহাজ চলে।
উত্তর: মানচিত্র
৯২. আমি গায়ে তুলে নেই অনেক বোঝা, তবু ক্লান্ত হই না।
উত্তর: ট্রাক
৯৩. দাঁত আছে, কিন্তু চিবায় না, কেবল কেটে চলে।
উত্তর: করাত
৯৪. আমি দৌড়াই, কিন্তু কখনো হাঁপাই না।
উত্তর: ফ্যান
৯৫. গায়ে হাড় নেই, তবু কাঁপে।
উত্তর: জেলি
৯৬. চোখে দেখা যায় না, তবু অনুভব করা যায়।
উত্তর: হাওয়া
৯৭. আমি খাবার পচাই, গন্ধ ছড়াই।
উত্তর: ব্যাকটেরিয়া
৯৮. আমি একাই চলি, তবু পথে পথিক।
উত্তর: নদী
৯৯. আমি তোমার ভিতরে থাকি, তোমাকে চালাই, আমি কে?
উত্তর: মন
১০০. এমন একটি শব্দ, যেটি উচ্চারণ করলেই তা ভেঙে যায়।
উত্তর: নীরবতা
এখন কিছু ধাঁধা মজার ছন্দে:
১০১. লাল টকটকে, গায়ে দাগ, কেটে ফেললে গড়ায় রাগ।
উত্তর: তরমুজ
১০২. ছোটখাটো পাখি আমি, হাঁটি এক পায়ে, কাও কাও ডাকি।
উত্তর: কাক
১০৩. হাঁটি হেঁটে চুলে পড়ি, বৃষ্টিতে ভিজলে শরীরে জড়ি।
উত্তর: ছাতা
১০৪. আমি হাসি, আমি কাঁদি, আমার চোখে জল।
উত্তর: শিশু
১০৫. বনের রানি আমি, গর্জন শুনলে কাঁপে জমি।
উত্তর: বাঘ
১০৬. নই আমি মাছ, জলেতে থাকি, ডাকে “ব্যাঙ ব্যাঙ”, মুখে রাখি।
উত্তর: ব্যাঙ
১০৭. কাঁচের মত স্বচ্ছ আমি, পেলে জীবন, না পেলে মৃত্যু।
উত্তর: পানি
১০৮. আমি হইলে রান্না চলে, আমি না থাকলে কিছুই না মেলে।
উত্তর: আগুন
১০৯. কাঁধে বয়ে যাই দূর গাঁয়, বই পিঠে, আমি কে ভাই?
উত্তর: ছাত্র
১১০. দুধের মতো সাদা, মুখে দিলে মিষ্টি, বেশি খেলেই দাঁতে খিটখিটি।
উত্তর: চিনি
১১১. কাঁটায় ভরা আমার গা, ফুল ফুটালেই খুশি পায় মা।
উত্তর: গোলাপ
১১২. শীতকালে কাঁপি, গায়ে কাঁথা জড়াই, আগুন পেলে হাসি।
উত্তর: মানুষ
১১৩. কালো গায়ে সাদা অক্ষর, শিক্ষার সেরা অস্ত্র।
উত্তর: বই
১১৪. নামটা শুনলে গাছ মনে হয়, খেতে গেলে মিষ্টি হয়।
উত্তর: কলা
১১৫. চলতে জানি না, তবু পথ চলাই।
উত্তর: মানচিত্র
বুদ্ধির কিছু ঘোরানো ধাঁধা:
১১৬. আমাকে একবার বললেই আমি হারাই।
উত্তর: গোপন কথা
১১৭. আমি চোখ খুলে দেখি না, তবু অনেক কিছু জানি।
উত্তর: বই
১১৮. আমি ধরি না, ছুঁই না, তবু অনেক কিছু আটকাই।
উত্তর: নিয়ম
১১৯. আমাকে যত বেশি রাখো, তত অন্ধকার হয়।
উত্তর: ছায়া
১২০. আমি কাঁদি না, কিন্তু সবাই আমার চোখে জল দেখে।
উত্তর: মেঘ
১২১. এক গর্তে দুই সাপ, কামড়ায় না, দংশায় না।
উত্তর: নাক
১২২. সাদা, নরম, মুখে দিলেই গলে যায়।
উত্তর: বরফ
১২৩. হাঁটে না, কিন্তু সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়ায়।
উত্তর: ইন্টারনেট
১২৪. আমাকে ভেঙে ফেললে সবাই খুশি হয়।
উত্তর: উপবাস/ভাঙা অভ্যাস
১২৫. আমি হই কাগজে, সবাই মিলে করি; রেজাল্টে নাম দেখি, আনন্দে উড়ি।
উত্তর: পরীক্ষা
ধাঁধা দিয়ে বুদ্ধির খেলা
১২৬. দাঁত নাই, মুখ নাই, চিবায় সব।
উত্তর: জুতা
১২৭. ছোট্ট আমি, গায়ে আলো, রাত হলে আসি ভালো।
উত্তর: টর্চ
১২৮. জন্ম আমার পানিতে, বাসাও জলে, ধরলে পিছলাই।
উত্তর: মাছ
১২৯. উপরে খাও, নিচে খাও, মাঝখানে ফাঁকা।
উত্তর: রিং/বাঁশের হোলা
১৩০. আগে ছিলাম কাঠ, এখন বলি টিক টিক।
উত্তর: ঘড়ি
১৩১. আমি উঠি আগুনে, পড়ি পানিতে, ফেটে পড়লে খবর হয়।
উত্তর: গ্যাসের চুলা
১৩২. গায়ে পাখা, ডাকে না, উড়ে না, বাতাস ছড়ায়।
উত্তর: পাখা (ফ্যান)
১৩৩. কোন জিনিস চোখে দেখা যায় না, শুনা যায় না, কিন্তু তবুও সবাই তা অনুভব করে।
উত্তর: সময়
১৩৪. আমি থাকলে মাথায় রাখো, না থাকলে খুঁজো।
উত্তর: টুপি
১৩৫. পড়ে থাকে দেওয়ালে, ছবি নয়, কিন্তু ঝুলে থাকে।
উত্তর: ক্যালেন্ডার
১৩৬. হাড় নেই, মাংস নেই, তবু দাঁত আছে।
উত্তর: চিরুনি
১৩৭. আগুনে পোড়াই, তবু গায়ে দাগ লাগে না।
উত্তর: রান্নার হাঁড়ি
১৩৮. আমি গড়ালে সবাই খুশি হয়, আমি কে?
উত্তর: টাকা
১৩৯. আমাকে কেউ ছুঁতে পারে না, তবু আমি সবাইকে ছুঁই।
উত্তর: আলো
১৪০. সারা দিন কাজ করি, রাত হলে বন্ধ হই।
উত্তর: দোকান
১৪১. হাঁটি না, তবু গতিতে থাকি, দাঁড়ালে খবর হয়।
উত্তর: ট্রেন
১৪২. খোলা থাকলে মানুষ খুশি, বন্ধ থাকলে কষ্ট।
উত্তর: জানালা
১৪৩. পা ছাড়া দৌড়াই, ডানা ছাড়া উড়ি।
উত্তর: সময়/চিন্তা
১৪৪. মুখে কালি, কাজে আলো, পড়লে মেলে ভালো ভালো।
উত্তর: বই
১৪৫. দাঁত আছে, মুখ নেই, কথা বলে না।
উত্তর: জিপার
১৪৬. বাড়িতে থাকি, তবু বাইরে কাজ করি।
উত্তর: মোবাইল ফোন
১৪৭. দিন রাত এক থাকে, তবু সময় জানায়।
উত্তর: ঘড়ি
১৪৮. ছেলেরা পরলে বাহাদুরি, মেয়েরা পরলে সৌন্দর্য।
উত্তর: ঘড়ি
১৪৯. গায়ে বোঝা নেই, তবু টানলে কষ্ট হয়।
উত্তর: স্মৃতি
১৫০. যত বড় হয়, তত কম আলো দেয়।
উত্তর: ছায়া
মজার ছন্দে ধাঁধা:
১৫১. পাখা আমার গায়ে, কিন্তু উড়তে পারি না। বাতাস ছড়াই দিনে, রাতে করি না।
উত্তর: ফ্যান
১৫২. মাথা ছাড়া চিন্তা করি, মন ছাড়া অনুভব করি।
উত্তর: হৃদয়
১৫৩. সারাদিন চলে, থামে না, তবু কখনো হাঁপায় না।
উত্তর: সময়
১৫৪. পায়ে হাঁটি না, তবু চলি, পথে পথে সবাই চিনি।
উত্তর: বাইক
১৫৫. এক চোখে দেখো, দুই চোখে বোঝো, আমি কে?
উত্তর: দূরবীন
১৫৬. নামটা শুনলেই গরম লাগে, খেতে গেলে পেট জ্বলে।
উত্তর: মরিচ
১৫৭. আমি সাদা, মিষ্টি স্বাদ, বেশি খেলেই দাঁতে আঘাত।
উত্তর: চিনি
১৫৮. আমি বাজলে সবাই জাগে, আমি না বাজলে দেরি হয়।
উত্তর: অ্যালার্ম
১৫৯. দুধের মত সাদা, ঘুরে ঘুরে চলে, বাতাসে মিশে যায়।
উত্তর: ধোঁয়া
১৬০. গাছ নয়, তবু পাতা আছে, পাতা না খুললে জ্ঞান আসে না।
উত্তর: বই
১৬১. আমি সাদা, তবু ঘরে ঢুকলে সবাই কাঁদে।
উত্তর: পেঁয়াজ
১৬২. নাম শুনলেই বাঘ, কিন্তু জলেই বাস।
উত্তর: বাঘ মাছ
১৬৩. আমি ছোট, একাই থাকি, কারো মনে হলে ব্যথা দিই।
উত্তর: কাটাঁ
১৬৪. আমি খাই না, তবু খাবার ছাড়া থাকি না।
উত্তর: থালা
১৬৫. আমি আছি, কিন্তু দেখো না, আমি না থাকলে ঘোর অন্ধকার।
উত্তর: আলো
১৬৬. আমাকে বলো, আমি সত্য বলি, মিথ্যে বলি না।
উত্তর: আয়না
১৬৭. বড় বড় চোখ, ঘুমায় দিনে, জেগে থাকে রাতে।
উত্তর: পেঁচা
১৬৮. আমি চললে শব্দ হয়, থামলে নীরবতা।
উত্তর: ট্রেন
১৬৯. দাঁত নাই, খায় শুধু, একবার গিলে হজম না করে বের করে।
উত্তর: শিঙাড়া
১৭০. আমার পেটে সবাই ঢোকে, কেউ বের হয় না।
উত্তর: কবর
১৭১. আমি অনেক দূর যাই, কিন্তু এক পা না হাঁটি।
উত্তর: আলো
১৭২. গায়ে পানি পড়লে আমি ভিজি না, তবু আমি জলে থাকি।
উত্তর: মাছের কাঁটা
১৭৩. আমি যত থাকি, ততই আলো কমে।
উত্তর: অন্ধকার
১৭৪. ঠোঁট নেই, তবু চুমু খাই।
উত্তর: হাওয়া
১৭৫. মানুষ আমায় রাখে, হারিয়ে গেলে কাঁদে।
উত্তর: স্মৃতি
শেষ ধাপে বুদ্ধির চূড়ান্ত পরীক্ষা
১৭৬. আমি সাদা, সবার পাতে, খেলে পেট ভরে।
উত্তর: ভাত
১৭৭. নিজে কাঁদি না, অন্যকে কাঁদাই।
উত্তর: পেঁয়াজ
১৭৮. যত খাই, তত হালকা হই।
উত্তর: মোমবাতি
১৭৯. আমি ছোট, হাতে থাকি, কথা বলি, কিন্তু প্রাণ নেই।
উত্তর: মোবাইল ফোন
১৮০. আমাকে না জেনে চালালে, বিপদ নিশ্চিত।
উত্তর: গাড়ি
১৮১. আমি চালাই, কিন্তু মানুষ নয়, আমি কে?
উত্তর: রিমোট
১৮২. পেট ফেটে যায়, তবু রাগে না।
উত্তর: বলুন (বেলুন)
১৮৩. চাকা ঘুরে, আলো জ্বলে, মানুষ হাসে।
উত্তর: চকলেটের গাড়ি/জাদু প্রদর্শনী
১৮৪. গায়ে বৃষ্টি পড়লে নাচি, কিন্তু মানুষ না।
উত্তর: ছাতার কাপড়
১৮৫. গায়ে আগুন লাগলে কেউ হাসে! আমি কে?
উত্তর: আতশবাজি
ঘোরানো ধাঁধা
১৮৬. ভেতরে থাকি, কিছু বলি না, বাইরে এলে সবাই খুশি।
উত্তর: চিঠি
১৮৭. কাগজে নাম, মনে দাগ, পড়লেই বদলে যায় ভাগ্য।
উত্তর: সার্টিফিকেট/ফলাফল
১৮৮. চোখ থাকলেও দেখা যায় না, মুখে কিছু বলা যায় না।
উত্তর: বোতাম
১৮৯. আমি থাকি অনেক দূরে, তবুও আলো ছড়াই।
উত্তর: তারা/সূর্য
১৯০. আমি চলি, তুমি ভাবো, আমি থামি, তুমি ঘুমাও।
উত্তর: চিন্তা
১৯১. আমি জ্বলে, কিন্তু আগুন না।
উত্তর: বাল্ব
১৯২. আমি একাই থাকি, কিন্তু অনেককেই চিনতে পারি।
উত্তর: আঙুলের ছাপ
১৯৩. আমি হালকা, তবু তুলতে কষ্ট।
উত্তর: দায়িত্ব
১৯৪. যতই কাটো, ততই বাড়ে।
উত্তর: চুল
১৯৫. আমি গায়ে নেই, মনে থাকি, সময় এলে মনে পড়াই।
উত্তর: প্রতিজ্ঞা
ছন্দে ছন্দে ধাঁধা:
১৯৬. লম্বা, সরু, আলো ছড়ায়, তারে ছুঁলে বিদ্যুৎ খায়।
উত্তর: বৈদ্যুতিক তার
১৯৭. জলে থাকি, তবু শুকিয়ে যাই, মানুষের কাজে প্রতিদিন চাই।
উত্তর: সাবান
১৯৮. কাঁদে না, তবু চোখে জল; খেলে পেট ভরে, মনের বল।
উত্তর: ভাত
১৯৯. পেছনে পিছনে ছায়া হাঁটে, আলো গেলে সে সরে দাঁড়ায়।
উত্তর: ছায়া
২০০. আমি আসলে চারটি পা, বসে থাকি, চলি না।
উত্তর: চেয়ার
২০১. আমি চার চাকার বাহন, চালাই না, চালানো হয়।
উত্তর: গাড়ি
২০২. দুই চোখে দেখি, কিন্তু ছবি আঁকি এক চোখে।
উত্তর: ক্যামেরা
২০৩. আমি উঠি, কখনো নামি না।
উত্তর: বয়স
২০৪. নাম আছে, রঙ আছে, তবু গন্ধ নেই, স্বাদ নেই।
উত্তর: নাম/রং
২০৫. আমি থাকলে মন ভালো হয়, না থাকলে বিষণ্নতা।
উত্তর: হাসি
আরও কিছু মজার ধাঁধা:
২০৬. ভেতরে ঢুকলে আলো, বাইরে এলেই আঁধার।
উত্তর: লাইট বক্স
২০৭. ঠোঁট ছাড়া কথা বলি, কান ছাড়া শুনি।
উত্তর: টেলিভিশন
২০৮. দিন রাত চলে, ক্লান্তি নেই।
উত্তর: সময়
২০৯. আমি কাটলে সবাই হাসে, আমি কে?
উত্তর: কৌতুক
২১০. আমাকে বলো, আমি তোমার কথা বলব।
উত্তর: প্রতিচ্ছবি
২১১. ছোট্ট আমি, পেটে আলো, গাছে উঠলে পড়ে যাই।
উত্তর: লাইটার
২১২. মাটি থেকে উঠে আসে, পরে খেয়ে ফেলে।
উত্তর: ধোঁয়া
২১৩. আগুনে পুড়েও গলে না, আমি কে?
উত্তর: মাটি/ইট
২১৪. আমি না থাকলে দেখা যায় না, তবু আমি অদৃশ্য।
উত্তর: আলো
২১৫. আমি সব কিছু জানি, কিন্তু কিছুই বলি না।
উত্তর: কম্পিউটার
শেষ ধাঁধা (সংক্ষেপে)
২১৬. দাঁত আছে, কিন্তু চিবোয় না – চিরুনি
২১৭. ঘুমায় না, তবু স্বপ্ন দেখায় – টিভি
২১৮. এক পা দিয়ে দাঁড়াই – ছাতা
২১৯. গায়ে পোশাক নেই, তবু ঠাণ্ডা লাগে না – চেয়ার
২২০. এক চোখে হাজার দেখা – দূরবীন
২২১. আমার মাথা কেটে ফেললেও আমি টিকে থাকি – পিঁপড়া
২২২. আমার গায়ে জোর নেই, তবু পাহাড় ভাঙি – বিজ্ঞান
২২৩. আমাকে না জানলে, চলা যায় না – নিয়ম
২২৪. আমি চলে গেলে কেউ ফিরাতে পারে না – সময়
২২৫. আমাকে দিলে সবাই ভালোবাসে – ভালোবাসা
২২৬.
“সব ধাঁধা যদি তোমার পছন্দ হয়,
বুদ্ধির গুণে তুমি সবাইকে ছাড়ায়।”
উত্তর: তুমি নিজেই!
শেষ কথা
বুদ্ধির ধাঁধা শুধু সময় কাটানোর জন্য নয়, বরং মননশীলতা বাড়ানোর এক দুর্দান্ত উপায়। এগুলো নিয়মিত চর্চা করলে স্মৃতিশক্তি, যুক্তি বিশ্লেষণ এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়ে। উপরন্তু, পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য এগুলো দারুণ বিনোদনের মাধ্যম।