আজকের রডের দাম ২০২৪

আজকের রডের দাম

বাংলাদেশের নির্মাণ শিল্পে লোহার রড একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। স্থাপত্যকলা থেকে শুরু করে সাধারণ বাড়িঘর নির্মাণ পর্যন্ত, প্রতিটি ক্ষেত্রেই লোহার রডের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। তাই, লোহার রডের দাম সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রডের দাম বর্তমান বাজারে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে অপরিহার্য উপাদানগুলির মধ্যে রড অন্যতম। কিন্তু প্রতিদিন রডের দাম বাড়ার কারণে অনেকেই উদ্বিগ্ন। এই ব্লগে আমরা বাংলাদেশে রডের বর্তমান দাম ও এর বিভিন্ন প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করব।

লোহার রডের প্রকারভেদ

লোহার রড বিভিন্ন আকার ও প্রকারে পাওয়া যায়। সাধারণত, বাজারে তিন ধরনের লোহার রড দেখা যায়:

  1. এমএস রড (Mild Steel Rod): এই রডগুলো তুলনামূলকভাবে নমনীয় এবং ছোটখাটো নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত হয়।
  2. টি এম টি রড (Thermo Mechanically Treated Rod): এই রডগুলো বেশি শক্ত এবং মজবুত। বড়ো বড়ো ভবন ও গুরুত্বপূর্ণ নির্মাণ কাজে এই রডের ব্যবহার বেশি হয়।
  3. হাই টেনশন রড (High Tensile Rod): এই রডগুলো অত্যন্ত শক্তিশালী এবং ভারি নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত হয়।

আজকের রডের দাম কত

রডের নামপ্রতি টন রডের মূল্য ( ১ টন )
CSRM STEEL৮৭,৫০০ টাকা
VSL STEEL৮৮,০০০ টাকা
SCRM STEEL৮৮,০০০ টাকা
Metro STEEL৮৮,৫০০ টাকা
PSRM STEEL৮৮,৫০০ টাকা
JSRM STEEL৮৮,৫০০ টাকা
ZSRM STEEL৮৮,৬০০ টাকা
HRRM৮৮,৭০০ টাকা
SUMA STEEL৮৮,৭০০ টাকা
KING STEEL৮৮,৯০০ টাকা
KSML STEEL৮৮,৯০০ টাকা
MSW STEEL৮৯,০০০ টাকা
BSI STEEL৮৯,০০০ টাকা
HI-TECH STEEL৮৯,০০০ টাকা
HKG STEEL৮৯,৩০০ টাকা
RANI STEEL৮৯,৫০০ টাকা
BAIZID STEEL৮৯,৫০০ টাকা
SAIFUL ALAM৮৯,৫০০ টাকা
Akij ISPAT৮৯,৭০০ টাকা
PHP STEEL৯০,০০০ টাকা
ASBRM STEEL৯০,০০০ টাকা
RAHIM STEEL৯০,৫০০ টাকা
GPH ISPAT৯০,৭০০ টাকা
ANOWAR ISPAT৯১,৫০০ টাকা
KSRM STEEL৯২,৬০০ টাকা
AKS STEEL৯৩,০০০ টাকা
BSRM৯৫,৫০০ টাকা

রডের মূল্য বৃদ্ধির কারণ

  • কাঁচামালের মূল্যঃ লোহার রড তৈরি করতে প্রধানত লোহা এবং ইস্পাত ব্যবহৃত হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে লোহা এবং ইস্পাতের মূল্য বৃদ্ধি পেলে, লোহার রডের দামও বৃদ্ধি পায়।
  • উৎপাদন খরচঃ কারখানার শ্রমিকদের মজুরি, বিদ্যুৎ খরচ, এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচগুলোও রডের দাম নির্ধারণে ভূমিকা রাখে। যদি উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়, তবে রডের দামও বৃদ্ধি পায়।
  • আমদানি নির্ভরতাঃ বাংলাদেশের অনেক কারখানা কাঁচামাল আমদানির উপর নির্ভর করে। ডলার রেটের পরিবর্তন এবং আমদানি শুল্কের পরিমাণও রডের দামে প্রভাব ফেলে।
  • বাজারের চাহিদা ও যোগানঃ যখন নির্মাণ কাজের পরিমাণ বাড়ে, তখন রডের চাহিদা বেড়ে যায়। ফলে দামও বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে, যদি চাহিদা কমে যায় তবে দাম কমে।
  • স্থানীয় অর্থনীতিঃ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং নির্মাণ কাজের পরিমাণও ভবিষ্যতে রডের দামে প্রভাব ফেলবে। যদি স্থিতিশীলতা থাকে এবং নির্মাণ কাজের পরিমাণ বাড়ে, তবে রডের দামও বৃদ্ধি পাবে।
  • আন্তর্জাতিক প্রভাবঃ বিশ্বব্যাপী লোহার দাম বৃদ্ধি পেলে বাংলাদেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়বে। বিশেষ করে যদি আমদানি নির্ভরতা বাড়ে, তবে দামও বৃদ্ধি পাবে।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক

  • রডের ধরণ, আকার এবং পরিমাণ নির্ভর করে নির্মাণের ধরণ এবং লোড বহনকারী ক্ষমতার উপর।
  • রড সঠিকভাবে স্থাপন করা গুরুত্বপূর্ণ যাতে তারা সর্বোচ্চ সুবিধা প্রদান করতে পারে।
  • নির্মাণের সময় স্থানীয় বিল্ডিং কোডগুলি মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ।

শেষ কথা

রডের দাম নির্ধারণে বিভিন্ন কারণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কাঁচামালের দাম, উৎপাদন খরচ, আমদানি নির্ভরতা, এবং বাজারের চাহিদা এসব উপাদান রডের দামে প্রভাব ফেলে। বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যতের পূর্বাভাস দেখে, নির্মাণ কাজের জন্য সঠিক সময়ে রড কেনা উচিত। বাংলাদেশের নির্মাণ শিল্পে রডের চাহিদা ক্রমবর্ধমান। তাই এর দাম সম্পর্কিত তথ্য জানা অত্যন্ত জরুরি। বাংলাদেশে রডের দাম এবং এর প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। ভবিষ্যতে রডের বাজারে অনেক পরিবর্তন আসতে পারে, যা নির্মাণ শিল্পের উপর প্রভাব ফেলবে। তাই রড ক্রয় ও ব্যবহার সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের এই ধরনের বিশ্লেষণী লেখাগুলি আপনাদের জ্ঞানার্জনে সহায়ক হলে আমাদের সাথে থাকুন এবং আরও বিস্তারিত তথ্য পেতে আমাদের ফলো করুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top