সুলতান ডাইন কাচ্চির দাম ২০২৪

সুলতান ডাইন কাচ্চির দাম

বাংলাদেশের রন্ধনশৈলীতে কাচ্চি বিরিয়ানি এক অতুলনীয় খাবার হিসেবে বিবেচিত। এবং যখন কাচ্চির কথা আসে, তখন সুলতান ডাইন একটি বিখ্যাত নাম। তাদের সুস্বাদু কাচ্চি বিরিয়ানি ভোজনরসিকদের জন্য এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা। বাংলাদেশে খাবারের তালিকায় সুলতান ডাইনের কাচ্চি বিরিয়ানি একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় নাম। এটি কেবল একটি খাবার নয়, বরং বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান অংশ। যেকোনো উৎসব, বিয়ে বা সামাজিক অনুষ্ঠান কাচ্চি ছাড়া যেন অসম্পূর্ণ। বিশেষ করে ঢাকার মানুষদের কাছে সুলতান ডাইন কাচ্চি একটি প্রিয় খাবার হিসেবে সুপরিচিত। আজকের এই প্রবন্ধে আমরা জানবো সুলতান ডাইন কাচ্চির দামের পরিবর্তনশীলতা, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এবং এর বিশেষত্ব।

সুলতান ডাইনের পরিচিতি

সুলতান ডাইন বাংলাদেশের একটি অন্যতম জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট চেইন। তারা মূলত কাচ্চি বিরিয়ানির জন্য বিখ্যাত হলেও, তাদের মেনুতে আরও অনেক সুস্বাদু খাবার রয়েছে। তাদের কাচ্চি বিরিয়ানি সুগন্ধী চাল, খাসির মাংস, এবং বিশেষ মশলার সংমিশ্রণে তৈরি হয় যা এটির স্বাদকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে যায়। সুলতান ডাইন কাচ্চির শিকড় প্রাচীন মুঘল আমল থেকে। মুঘল সম্রাটদের রাজকীয় রান্নাঘরে জন্ম নেওয়া এই খাবার ধীরে ধীরে বাংলাদেশে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বিশেষ করে ঢাকায় এর বিশেষ কদর রয়েছে। প্রাচীন রেসিপির নিখুঁত ব্যবহার এবং ঐতিহ্যবাহী মশলার সুবাস এই কাচ্চিকে বিশেষ বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করেছে। বাংলাদেশের রন্ধনশিল্পে কাচ্চির একটি বিশেষ স্থান রয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন পদ্ধতিতে কাচ্চি রান্না হলেও সুলতান ডাইন এর বিশেষ স্বাদ এবং গুণমানের জন্য আলাদা করে স্থান করে নিয়েছে। এই খাবারটি কেবল মজাদার নয়, বরং এটি ঐতিহ্যবাহী রন্ধনশৈলীর একটি জীবন্ত উদাহরণ।

সুলতান ডাইন কাচ্চির দাম

কাচ্চি বিরিয়ানি রান্নার প্রক্রিয়াটি অন্যান্য বিরিয়ানির চেয়ে একটু ভিন্ন। কাঁচা মাংস এবং চাল একসাথে মেশানো হয় এবং ধীরে ধীরে দমে রান্না করা হয়। এটি মশলা এবং মাংসের স্বাদকে চালের সাথে মিশিয়ে এক অতুলনীয় অভিজ্ঞতা তৈরি করে। খাদ্যদ্রব্যের দাম প্রায়ই বিভিন্ন কারণে পরিবর্তিত হয়, যেমন কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি, শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি, এবং বাজারে চাহিদার পরিবর্তন। সুলতান ডাইনের কাচ্চির দামও এসব কারণের প্রভাব অনুভব করতে পারে। চলুন দেখি, ২০২৪ সালে সুলতান ডাইনের কাচ্চির দাম কত হতে পারে। সুলতান ডাইন কাচ্চির দাম প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। ঢাকা শহরের জনপ্রিয় এই রেস্তোরাঁর কাচ্চির দাম বর্তমানে প্রতি প্লেট ২৯৯ টাকা থেকে শুরু করে ২৬৯৯ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তবে বিভিন্ন বিশেষ অনুষ্ঠানে এবং ফেস্টিভাল উপলক্ষে দাম কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকেও কাচ্চি অর্ডার করতে পারবেন এবং সেখানে মাঝে মাঝে বিশেষ ডিসকাউন্ট পাওয়া যায়।

সুলতান ডাইন কাচ্চির দাম কত

আইটেমপরিমাণমূল্য (টাকা)
বাসমতি কাচ্চিঅর্ধেক২৯৯ টাকা
1:1৪৬০ টাকা
1:2৬৯৯ টাকা
1:3১,২৪৯ টাকা
1:5২,১৪৯ টাকা
বাসমতি কাচ্চি কম্বোঅর্ধেক + বোরহানি + জর্দা/ফিরনি৩৭৯ টাকা
1:1 + বোরহানি + জর্দা/ফিরনি৫৮০ টাকা
1:3 + বোরহানি + জর্দা/ফিরনি১,৫৭৯ টাকা
1:5 + বোরহানি + জর্দা/ফিরনি২,৬৯৯ টাকা
মুরগির রোস্ট + বোরহানি৬৬০ টাকা
কাচ্চি থালাঅর্ধেক কাচ্চি + মুরগির রোস্ট + বোরহানি + জালি কাবাব৫৩৯ টাকা
কাচ্চি + মুরগির রোস্ট + বোরহানি৬৬০ টাকা
কাচ্চি + চিকেন রোস্ট + জালি কাবাব + Beef Rezala + বোরহানি + জর্দা/ফিরনি + চাটনি + সালাদ৭৯৯ টাকা
কারিগরুর মাংস কাটলারি২০০ টাকা
মুরগির রোস্ট১৫০ টাকা
আস্ত মুরগির রোস্ট৫০০ টাকা
Asto Khashi (প্রি-অর্ডার)১৮,০০০ টাকা
পোলাওপ্লেইন পোলাও১২০ টাকা
মুরোগ পোলাও২৯৯ টাকা
মিষ্টিফিরনি৭০ টাকা
জর্দা৭০ টাকা
সাইডচাটনি (মিষ্টি এবং টক)২৫ টাকা
পানীয়বোরহানি (1 গ্লাস)৭০ টাকা
Zafrani Sorbot (1 গ্লাস)৯০ টাকা
কোমল পানীয় (1 গ্লাস)৪০ টাকা

দাম নির্ধারণের প্রধান কারণসমূহ

  • কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি: চাল, মাংস, এবং মশলার দাম বৃদ্ধি পেলে কাচ্চির দামও বাড়তে পারে।
  • শ্রমিক খরচ: রেস্টুরেন্ট পরিচালনার জন্য শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে খাবারের দামও বাড়তে পারে।
  • বাজারের চাহিদা: কাচ্চির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেলে এর দামও বাড়তে পারে।
  • প্রতিযোগিতা: প্রতিযোগী রেস্টুরেন্টগুলোর মূল্য নীতি সুলতান ডাইনের কাচ্চির দামের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

সুলতান ডাইন কাচ্চির বিশেষত্ব

  • স্বাদ এবং সুগন্ধঃ সুলতান ডাইন কাচ্চির সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব হলো এর অনন্য স্বাদ এবং সুগন্ধ। এখানে ব্যবহৃত মশলার মিশ্রণ, মাংসের সঠিক রান্না এবং বাসমতি চালের প্রয়োগ একটি বিশেষ খাবার হিসেবে এটি তৈরি করে। এই কাচ্চি কেবল পেট ভরায় না, বরং স্বাদের ইন্দ্রিয়কে এক অসাধারণ অনুভূতি প্রদান করে।
  • ঐতিহ্যবাহী রন্ধনশৈলীঃ সুলতান ডাইন কাচ্চি প্রস্তুতে প্রাচীন রেসিপি অনুসরণ করা হয়, যা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে রান্না করার ফলে এই খাবারটির স্বাদ এবং গুণমান দুইই অক্ষুণ্ণ থাকে। বিশেষ করে ঢাকায় এটি একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা হিসেবে বিবেচিত হয়।
  • অভিজ্ঞতা এবং স্মৃতিঃ সুলতান ডাইন কাচ্চি শুধুমাত্র একটি খাবার নয়, এটি বাংলাদেশের আতিথেয়তার প্রতীক। পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে একত্রে এই খাবার খাওয়ার সময় একটি বিশেষ স্মৃতি এবং অভিজ্ঞতা তৈরি হয়। বাংলাদেশে ভ্রমণ করার সময় এটি উপভোগ করার মতো একটি অভিজ্ঞতা।

কেন সুলতান ডাইন কাচ্চি এত জনপ্রিয়

  • গুণগতমানঃ সুলতান ডাইন কাচ্চির গুণগতমান সবসময়ই অক্ষুণ্ণ থাকে। এই রেস্তোরাঁর প্রতিটি পদক্ষেপে মান নিয়ন্ত্রণ করা হয়, যা খাবারের গুণমানকে নিশ্চিত করে।
  • ব্র্যান্ডের সুনামঃ সুলতান ডাইন একটি সুপরিচিত এবং বিশ্বাসযোগ্য ব্র্যান্ড। এর নাম শুনলেই খাবারের প্রতি আস্থা তৈরি হয়। তাদের দীর্ঘদিনের সুনাম এবং সেবার মান তাদের জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ।
  • ভিন্নতাঃ বাজারে অন্যান্য অনেক ধরনের বিরিয়ানি পাওয়া গেলেও সুলতান ডাইন কাচ্চির স্বাদ এবং মানের তুলনা হয় না। এর স্বাদ, সুগন্ধ এবং গুণগতমান একে অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলে।

শেষ কথা

সুলতান ডাইন কাচ্চি শুধু একটি খাবার নয়, এটি বাংলাদেশের সমৃদ্ধ রন্ধন ঐতিহ্যের প্রতীক। ঢাকার ব্যস্ত রাস্তায় , এই কাচ্চির সুগন্ধ আপনাকে আকৃষ্ট করবে। এটি কেবল পেট ভরায় না, বরং মনকেও তৃপ্ত করে। সুলতান ডাইন কাচ্চির প্রতিটি কামড়ে ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং অসাধারণ স্বাদের আবিষ্কার ঘটে। আপনি যদি ঢাকায় যান, তবে সুলতান ডাইন কাচ্চি অবশ্যই খেয়ে দেখবেন। প্রতিটি কামড়ে আপনি পাবেন এক অনন্য অভিজ্ঞতা, যা বাংলাদেশের আতিথেয়তা এবং রন্ধনশৈলীর প্রতিচ্ছবি। আজকের এই প্রবন্ধে আমরা সুলতান ডাইন কাচ্চির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি, এটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। নতুন দামের আপডেটের জন্য আমাদের সাথেই থাকুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top