
কিছু জনপ্রিয় ও মজার হাসির ধাঁধা (উত্তরসহ) দেওয়া হলো। এগুলো পরিবার, বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে সময় কাটানোর সময় ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিটি ধাঁধায় রয়েছে মজার মোচড়, যা আপনার মুখে হাসি ফোটাবে।
এই হাসির ধাঁধাগুলি শুধু বিনোদন দেয় না, বরং মননশীলতাও বাড়ায়। আপনি চাইলে এগুলো ছোটদের শেখাতে পারেন, অথবা বন্ধুদের সাথে চ্যালেঞ্জ হিসেবে খেলতেও পারেন। সময় কাটানোর মজার এবং চিন্তার উদ্রেককারী এই ধাঁধাগুলো বাংলা সংস্কৃতিতে এক অনন্য স্থান দখল করে আছে। মজার, বুদ্ধিদীপ্ত ও হাসির ধাঁধা (উত্তরসহ) সাজিয়ে দিলাম। এগুলোর মাধ্যমে আপনি বন্ধুদের সঙ্গে খেলা করতে পারেন, শিশুকে শেখাতে পারেন, কিংবা নিজেই উপভোগ করতে পারেন।
মজার বাংলা ধাঁধা (উত্তরসহ)
১. সারা জীবন হাঁটছে, কিন্তু এক পাও এগোয় না।
উত্তর: ঘড়ি।
২. গায়ে আগুন লাগলে সবাই পালায়, কিন্তু এ আগুনে সবাই ভীড় করে।
উত্তর: আতশবাজি।
৩. ছোট হলেও অনেক জ্ঞান রাখি, পৃষ্ঠা খুললেই নতুন জগৎ দেখি।
উত্তর: বই।
৪. কানে নেই, চোখে নেই, তবুও খবর নিয়ে আসে।
উত্তর: চিঠি।
৫. খেতে পারি না, কিন্তু খাবারের নাম শুনলে চলে আসি।
উত্তর: খিদের শব্দ।
৬. রাতে আসে, আলো দেয়, কিন্তু পাখি নয়।
উত্তর: জোনাকি।
৭. খেতে পারো না, তবু প্রতিদিন খাওয়ার টেবিলে থাকে।
উত্তর: প্লেট।
৮. ঘুমাতে পছন্দ করে না, সারা রাত জেগে থাকে।
উত্তর: চাঁদ।
৯. বইয়ের সাথে থাকে, নাম শুনলেই ভয় হয়।
উত্তর: পরীক্ষা।
১০. সব সময় আগুনে পোড়ে, কিন্তু এক ফোঁটা জলও চায় না।
উত্তর: মোমবাতি।
১১. হাসতে পারে না, তবু মুখে হাসি আঁকা থাকে।
উত্তর: ইমোজি।
১২. দিনে ঘুমায়, রাতে কাজ করে।
উত্তর: পোকা/বাদুড়।
১৩. যতই চালাও, কোথাও যায় না।
উত্তর: ফ্যান।
১৪. ছোট্ট একটা ঘর, সবাই সেখানে দাঁড়ায়।
উত্তর: লিফট।
১৫. ঘরে ঢুকলে হাসি পায়, বেরুলেই কাঁদতে ইচ্ছে করে।
উত্তর: সিনেমা হল।
১৬. নেই হাত, নেই পা, তবু দৌড়ায়।
উত্তর: পানি/নদী।
১৭. সাদা-কালো হয়, তবুও রঙিন গল্প বলে।
উত্তর: কাগজে ছাপা ছবি।
১৮. এক পায়ে দাঁড়িয়ে সারাদিন কাজ করে।
উত্তর: ছাতা।
১৯. খুললে আলো আসে, বন্ধ করলে অন্ধকার।
উত্তর: বাতি।
২০. দেখতে ফুলের মতো, গন্ধ নেই, খেতে ভালো লাগে।
উত্তর: ফুলকপি।
শিশুদের জন্য সহজ হাসির ধাঁধা
২১. দাঁত আছে, কিন্তু খায় না।
উত্তর: চিরুনি।
২২. পায়ের নীচে থাকে, মুখ আছে, গলায় শোনে।
উত্তর: মোজা।
২৩. পাখি নয়, ডানা নেই, তবুও আকাশে উড়ে।
উত্তর: প্লেন।
২৪. গাছ নয়, তবু ডাল-পালা আছে।
উত্তর: হাত।
২৫. জল ছাড়া বাঁচে না, কিন্তু এক ফোঁটা জল খেলেই মরে।
উত্তর: আগুন।
২৬. দাঁড়িয়ে থাকে সারাদিন, মুখে কথা নেই, চোখে সব দেখে।
উত্তর: সিসিটিভি ক্যামেরা।
২৭. রাতে জন্ম নেই, তবু দিনে লুকিয়ে থাকে।
উত্তর: তারা।
২৮. বাড়ির ছাদে থাকে, দড়ি দিয়ে চলে।
উত্তর: ঘুড়ি।
২৯. মাটি কামড়ে পড়ে থাকে, তবু শিকড় নেই।
উত্তর: জুতো।
৩০. শীতকালে আসে, গরমে পালায়।
উত্তর: কুয়াশা।
শিক্ষামূলক মজার ধাঁধা
৩১. দিনের শুরুতে আসে, অথচ রাতে আর থাকে না।
উত্তর: সূর্য।
৩২. শিখতে গেলে ভয় লাগে, কিন্তু শিখলে আনন্দ লাগে।
উত্তর: অঙ্ক।
৩৩. কলম নেই, কাগজ নেই, তবুও পড়ানো হয়।
উত্তর: অনলাইন ক্লাস।
৩৪. লেখাপড়া করে না, তবুও শিক্ষক তাকে ব্যবহার করে।
উত্তর: বোর্ড।
৩৫. দেখি, কিন্তু পৃষ্ঠা উল্টাই না।
উত্তর: ই-বুক।
৩৬. কথা বলে না, কিন্তু শব্দ করে।
উত্তর: ঘণ্টা।
৩৭. স্যার যখন আসে, আমি চুপ হয়ে যাই।
উত্তর: ক্লাস।
৩৮. দিনশেষে এসে সবাইকে বিদায় জানায়।
উত্তর: ঘণ্টা।
৩৯. না আছে চোখ, না আছে কান, কিন্তু সব দেখতে পারে।
উত্তর: ক্যামেরা।
৪০. যেখানেই যাই, পেছনে পেছনে আসে।
উত্তর: ছায়া।
অদ্ভুত মজার ধাঁধা
৪১. বৃষ্টি পড়ে না, তবুও ছাতা দরকার হয়।
উত্তর: রোদে।
৪২. কখনো কাঁদে না, কিন্তু জল ছাড়ে।
উত্তর: চোখ।
৪৩. লম্বা হয়ে গেলে কেটে ফেলো, ছোট হলে বাড়াও।
উত্তর: নখ।
৪৪. চোখ বন্ধ করলেই চলে আসে।
উত্তর: স্বপ্ন।
৪৫. মাটি ছাড়া জন্ম, তবুও মাটিতে ফেলে দেই।
উত্তর: টিস্যু।
৪৬. চোখে দেখি, কিন্তু ধরতে পারি না।
উত্তর: রংধনু।
৪৭. রাত আসে, আলো নিভে যায়। সে কখনো ঘুমায় না।
উত্তর: তারা।
৪৮. জ্বলতে থাকে, কিন্তু আগুন নয়।
উত্তর: বাল্ব।
৪৯. দেখতে গরু, শুনলে বক।
উত্তর: বক গরুর ছবি।
৫০. লাফায়, ফোঁটায়, শাঁ শাঁ করে যায়।
উত্তর: ফুটন্ত পানি।
বুদ্ধিদীপ্ত ও মজার ধাঁধা
৫১. সকাল-বিকেল দেখে, রাত হলে দেখা যায় না।
উত্তর: আয়না।
৫২. পানিও নয়, তবু জাহাজের মতো ভাসে।
উত্তর: মেঘ।
৫৩. সবাই ফেলে দেয়, কিন্তু তাতেই নতুন জন্ম হয়।
উত্তর: বীজ।
৫৪. বসে থাকলেও দৌড়াতে জানে।
উত্তর: কম্পিউটার প্রসেসর।
৫৫. দেখতে ছোট, মুখে বড়। সবাই তাকে ভয় পায়।
উত্তর: কাঁটা।
৫৬. চোখ আছে, মাথা আছে, কিন্তু বুদ্ধি নেই।
উত্তর: পুতুল।
৫৭. যে প্রশ্ন করে, উত্তর দেয় না।
উত্তর: ধাঁধা।
৫৮. নেই হাড্ডি, নেই মাংস, তবুও শরীর গঠন করে।
উত্তর: ছায়া।
৫৯. একটা শব্দ, সবাই চায়, কিন্তু বললে সমস্যা।
উত্তর: নিরবতা।
৬০. খেতে চাইলে তোমাকে খেতে দেবে না।
উত্তর: ফ্রিজ।
৬১. আমি আছি, কিন্তু তোমার ছায়ায় নেই।
উত্তর: চোখের পলক।
৬২. ঘরবন্দী হলেও বাইরে কাজ করে।
উত্তর: মোবাইল টাওয়ার।
৬৩. আমি থাকলে আলো কমে, আমি গেলে আলো বাড়ে।
উত্তর: মেঘ।
৬৪. আমি একা চলতে পারি না, দুজনের সাথে পথ চলি।
উত্তর: জুতো।
৬৫. গাছ থেকে পড়ে, মাটিতে পড়ে না।
উত্তর: রোদ/ছায়া।
৬৬. শরীর নেই, মাথা নেই, তবু চিন্তা করে।
উত্তর: কল্পনা।
৬৭. সবাই আমায় দেখলেও চিনে না।
উত্তর: আয়নার প্রতিবিম্ব।
৬৮. আমি কিছু না করেও সব কিছুর মাঝে থাকি।
উত্তর: বাতাস।
৬৯.খুললে আলো আসে, বন্ধ করলে ভয়।
উত্তর: লাইট।
৭০. ঘরজুড়ে ছড়িয়ে আছি, কিন্তু ঘরেই থাকতে চাই না।
উত্তর: ধোঁয়া।
৭১. পায়ের নিচে থাকি, কিন্তু পায়ে মাড়িয়ে যেও না।
উত্তর: গ্লাসের বোতল/আয়না।
৭২. আমি গায়ের ওপর থাকি, কিন্তু জামা নই।
উত্তর: ছাতা।
৭৩. আমি কথা না বলেও তোমার সব কথা বলি।
উত্তর: কল রেকর্ড।
৭৪. সবসময় তোমার সাথে থাকি, কিন্তু আমাকে কেউ দেখতে পায় না।
উত্তর: নিঃশ্বাস।
৭৫. আমি গাছের মতো বড় হই, কিন্তু মাটিতে জন্ম নেই।
উত্তর: আগুনের শিখা।
🎊 বেশি হাসির জন্য আলাদা ধাঁধা
৭৬. আমি বড় হলে সবাই কাঁদে, ছোট হলে হাসে। আমি কী?
উত্তর: সমস্যা।
৭৭. একটা ঘড়ি, তাতে সময় চলে না।
উত্তর: দেওয়ালের ঘড়ি যার ব্যাটারি নেই।
৭৮. আলো দেয়, তবু চোখে দেখা যায় না।
উত্তর: বিদ্যুৎ।
৭৯. চোখে পড়ি না, কিন্তু চোখ দিয়ে দেখি।
উত্তর: বাতাস।
৮০. একটা জিনিস, তুমি চাইলে আসে না, না চাইলেও চলে আসে।
উত্তর: হেঁচকি।
৮১. বড় হয়েই ছোট হয়ে যায়।
উত্তর: মোমবাতি।
৮২. তাকে ফেলো না, সে তোমার অতীত দেখায়।
উত্তর: পুরনো ছবি।
৮৩. চোখ খুলে দেখো না, তবু দেখতেই থাকো।
উত্তর: স্বপ্ন।
৮৪. বলি না, কিন্তু প্রতিদিন শুনি।
উত্তর: কানের হেডফোন।
৮৫. ছোট, কিন্তু একবার ঢুকলে সবাই হাসে।
উত্তর: টিকটিকির ডাক।
৮৬. বইয়ের মতো, কিন্তু বই না। পৃষ্ঠা আছে, পড়া যায় না।
উত্তর: ক্যালেন্ডার।
৮৭. আমার কোন গন্ধ নেই, তবুও সবাই আমাকে খোঁজে।
উত্তর: টাকা।
৮৮. আমাকে বললেই আমি চলে যাই।
উত্তর: চুপ।
৮৯. ভিতরটা গরম, বাইরেটা ঠান্ডা। খেতে দারুণ মজা।
উত্তর: পুরি/সামোসা।
৯০. একটা কথা যা সবাই বলে, কেউ বিশ্বাস করে না।
উত্তর: “আমি ডায়েট করছি।”
৯১. পাঠাও না, কিন্তু সব পাঠায়।
উত্তর: মোবাইল অ্যাপ।
৯২. আমি না চাইলে চলে না, চাইলে চলে না।
উত্তর: মোবাইল নেটওয়ার্ক।
৯৩. চলতে পারে না, কিন্তু তার কারণেই সব চলে।
উত্তর: টাকা।
৯৪. হাসি দিতেই হাসি পায়, কান্না দিলে ভয় পায়।
উত্তর: ছোট শিশু।
৯৫. একটা জায়গা, নাম শুনলেই ঘুম আসে।
উত্তর: ক্লাসরুম।
৯৬. ছেলে হলে কেউ হাসে, মেয়ে হলে সবাই খুশি।
উত্তর: শিশু জন্ম।
৯৭. ঘুরে বেড়াই, কিন্তু শরীর ঘোরে না।
উত্তর: পাখা।
৯৮. চোখে পানি আনে, কিন্তু দুঃখ দেয় না।
উত্তর: পেঁয়াজ।
৯৯. একবার আসে, সারাজীবন মনে থাকে।
উত্তর: প্রথম প্রেম।
১০০. সব কাজ করে, কোনো বেতন চায় না।
উত্তর: মা।
জনপ্রিয় ও মজার হাসির ধাঁধা | উত্তরসহ
১০১. সবসময় আমার পেছনে থাকলেও আমি তোমাকে কখনো ধরতে পারি না। আমি কে?
উত্তর: ছায়া।
১০২. আমি ছোটো, কিন্তু আমার শব্দে সবাই জেগে ওঠে। আমি কী?
উত্তর: ঘড়ির অ্যালার্ম।
১০৩. একটা জিনিস আছে, তুমি যত বেশি কাটো, সে তত বড় হয়। সেটা কী?
উত্তর: গর্ত।
১০৪. আমি সামনে গেলে তুমি কাঁদো, আমি গেলে সবাই হাসে। আমি কে?
উত্তর: পরীক্ষার রেজাল্ট।
১০৫. আমার মাথা নেই, চোখ নেই, কিন্তু মুখ দিয়ে অনেক কিছু বলে! আমি কে?
উত্তর: রেডিও।
১০৬. যত ধরা যায় না, তত বেশি পাওয়া যায়। আমি কী?
উত্তর: ঘুম।
১০৭. আমি উড়ে বেড়াই, পাখি না; আলো দিই, তারা না। আমি কী?
উত্তর: জোনাকি।
১০৮. একটা জিনিস, না আছে হাত, না আছে পা, কিন্তু খোলা দরজা বন্ধ করতে পারে। সেটা কী?
উত্তর: বাতাস।
১০৯. রান্না ঘরে থাকে, তবুও কখনো খাওয়া যায় না। সেটা কী?
উত্তর: চুলা।
১১০. আমি একবার আসি, কিন্তু সবাই চায় যেন আমি আবার না আসি। আমি কী?
উত্তর: অসুস্থতা।
শিশুদের জন্য সহজ হাসির ধাঁধা
১১১. দাঁত আছে, কিন্তু খেতে পারে না। কে সে?
উত্তর: চিরুনী।
১১২. সবসময় হাঁটে, কিন্তু কোথাও যায় না। সেটা কী?
উত্তর: ঘড়ি।
১১৩. আমি সাদা কাগজে থাকি, কিন্তু কখনো ধরা যাই না। আমি কী?
উত্তর: ছায়াছবি বা ছবি।
১১৪. আমি আসল নই, কিন্তু তোমার মতোই দেখতে। আমি কে?
উত্তর: আয়নায় প্রতিবিম্ব।
🧠 মাথার খোরাক হাসির ধাঁধা (সিনিয়রদের জন্য)
১১৫. একজন লোক ছাতা ছাড়াই বৃষ্টিতে ভিজল, তবুও তার মাথার একটা চুলও ভিজল না। কীভাবে?
উত্তর: লোকটি টাক ছিল।
১১৬. কোন জিনিসটা ভাঙলে তুমি কাঁদো না, কিন্তু সবাই চিৎকার করে?
উত্তর: নীরবতা।
১১৭. একটি বাস ১০ জন যাত্রী নিয়ে রওনা দিল। ৩ জন নেমে গেল, পরে ৫ জন উঠল। এখন বাসে কতজন?
উত্তর: ১২ জন।
📚 শিক্ষার্থীদের জন্য হাসির ধাঁধা
১১৮. কোন জিনিসটা আগে তোমার হয়, কিন্তু অন্যরা পরে জানে?
উত্তর: তোমার নাম।
১১৯. কোন ক্লাসে সবাই ঘুমায়?
উত্তর: ‘নিদ্রা’ ক্লাস! 😄
১২০. আমি প্রশ্ন করি, কিন্তু উত্তর জানি না। আমি কে?
উত্তর: ধাঁধা নিজেই!
🎉 অতিরিক্ত মজাদার হাসির ধাঁধা (বিশেষ সেগমেন্ট)
১২১. দিনের শেষে আমি সব কিছু গিলে ফেলি, তারপর আবার নতুন করে শুরু করি। আমি কী?
উত্তর: সূর্যাস্ত।
১২২. যখন আমি বেশি পাই, তখন সবাই আমাকে কম চায়। আমি কী?
উত্তর: কাজ!
১২৩. আমি সব কিছু শুনতে পারি, কিন্তু নিজে কিছু বলতে পারি না। কে আমি?
উত্তর: কান।
১২৪. আমি দৌড়াই, তবুও আমার পা নেই। আমি কী?
উত্তর: নদী।
😄 হাসির ধাঁধা উত্তরসহ
১২৫. এমন একটি জিনিস যা খুললেও বন্ধ, বন্ধ করলেও খোলা।
উত্তর: চোখ
১২৬. এমন একটি ফল, খেলে মাথা নড়ে!
উত্তর: নারকেল
১২৭. পেছনে গেলে সামনে যায়, সামনে গেলে পড়ে যায়।
উত্তর: গাড়ির রিভার্স গিয়ার
১২৮. আমাকে না ছুঁয়ে নিতে পারো, না দেখতে পারো, তবু আমি তোমার খুব কাছেই থাকি।
উত্তর: বাতাস
১২৯. এমন একটি জিনিস, সব সময় দাঁড়িয়ে থাকে কিন্তু হাঁটে না।
উত্তর: ঘড়ির কাঁটা
১৩০. খাচ্ছি না, খাই না, তবুও খাওয়া দাওয়া ছাড়া চলি না।
উত্তর: থালা
১৩১. দাঁত নেই কিন্তু কামড়ায়।
উত্তর: কাঁটা
১৩২. এমন একটি নদী যা শুকিয়ে গেলে লোকজন খুশি হয়।
উত্তর: ঘাম
১৩৩. আমি না থাকলে তুমি কিছু দেখতে পাবে না।
উত্তর: আলো
১৩৪. হাত নেই, পা নেই, তবু চলে চলে।
উত্তর: ঘড়ি
১৩৫. এমন একটি জিনিস, পানি খায় না কিন্তু পানি রাখে।
উত্তর: কলসি
১৩৬. এমন একটি জিনিস যা উল্টে দিলেও একই রকম দেখায়।
উত্তর: ৮ (সংখ্যা)
১৩৭. খায় না, পরে না, তবু সবার গায়ে থাকে।
উত্তর: নাম
১৩৮. পড়া শেষ হলে সবাই আমাকে ছুঁড়ে ফেলে।
উত্তর: প্রশ্নপত্র
১৩৯. গরমে পড়ে, ঠান্ডায় পড়ে না।
উত্তর: ঘাম
১৪০. আমি যেই বেশি, তুমি তত কম!
উত্তর: বয়স
১৪১. আমি নাচি, গাই, কথা বলি, কিন্তু মানুষ না।
উত্তর: টেলিভিশন
১৪২. আমি সব কথা শুনি, কিন্তু কিছু বলি না।
উত্তর: মোবাইল
১৪৩. এমন একটি জিনিস, যার চোখ আছে কিন্তু দেখতে পায় না।
উত্তর: সূই
১৪৪. আমি আকাশে থাকি, রাতে জ্বলি, কিন্তু তারা নই।
উত্তর: চাঁদ
১৪৫. সবাই আমাকে দেখে কিন্তু ধরতে পারে না।
উত্তর: স্বপ্ন
১৪৬. এমন একটি পাখি, ডিম পাড়ে না কিন্তু ডিম খায়।
উত্তর: হোটেলের বাবুর্চি (মজার রূপক)
১৪৭. আমাকে যতই কাটো, আমি তত বাড়ি।
উত্তর: গাছ
১৪৮. আমি জল খাই না, তবু সবসময় ভেজা থাকি।
উত্তর: মাছ
১৪৯. আমাকে কেউ ভালোবাসে না, কিন্তু সবাই চায় আমি দূরে যাই না।
উত্তর: টাকা
১৫০. এমন একটি জিনিস, সবাই নেয় কিন্তু ফেরত দেয় না।
উত্তর: নিঃশ্বাস
১৫১. আমি সবার পেছনে থাকি, তবু আমি কিছু বলি না।
উত্তর: ছায়া
১৫২. এমন একটি জিনিস, নিজে হেঁটে যায় না কিন্তু সবাইকে ঘুরিয়ে আনে।
উত্তর: পয়সা/টাকা
১৫৩. আমি আছি না, তবু সবাই আমাকে খোঁজে।
উত্তর: শান্তি
১৫৪. আমাকে কেউ ধরতে পারে না, আমি আসি শব্দ করে।
উত্তর: হাঁচি
১৫৫. আমাকে কেটে ফেললেও আমি দৌড়াই।
উত্তর: রাস্তা
১৫৬. আমি ধোয়ার পর শুকাই না, বরং আরও ভিজে যাই।
উত্তর: তোয়ালে
১৫৭. বিয়ের আগে রঙিন, বিয়ের পর ফ্যাকাসে!
উত্তর: বউয়ের মুখ! 😄
১৫৮. আমি কোনো কাজ করি না, তবু সব কাজ আমার ওপর চলে।
উত্তর: ঘড়ি
১৫৯. আমি যত কম, তত বেশি তুমি চাও আমাকে।
উত্তর: সময়
১৬০. সবার মুখে শুনি, কিন্তু আমার মুখ নেই।
উত্তর: কথা
১৬১. চাল নেই, চুলা নেই, তবুও রাঁধে।
উত্তর: মা 😍
১৬২. ছাতা ছাড়া বৃষ্টি ভেজে না, এমন কী?
উত্তর: মাছ
১৬৩. গাছের নাম বলো, যার ফল খেলে দৌড় দিতে হয়।
উত্তর: পেঁপে (পেট ব্যথা হলে!) 😆
১৬৪. কোনো পাখি উড়ে না, তবু পাখির নাম!
উত্তর: হাঁস
১৬৫. মাথা আছে, চুল নেই; দাঁত আছে, খায় না।
উত্তর: বুড়ো মানুষ 😜
১৬৬. এমন একটা বাটি, যা ফাটলে সবাই খুশি হয়।
উত্তর: ডিম
১৬৭. আমি ভেতরে ভেতরে পচে যাই, তবু সবাই খায়।
উত্তর: কলা
১৬৮. আমি গরম হলে মানুষ ঠান্ডা হয়।
উত্তর: চা/কফি
১৬৯. এমন একটি জিনিস যা চললেও চিৎ, থামলেও চিৎ।
উত্তর: চিতাবাঘ 😁
১৭০. এমন একটি গাছ, যার পাতা খেতে হলে কাঁদতে হয়।
উত্তর: পেঁয়াজ গাছ
১৭১. হাঁটা জানা নেই, কিন্তু সারা বাড়ি ঘুরি।
উত্তর: ঝাড়ু
১৭২. মুখে মুখে ঘোরে, কিন্তু মুখ নেই!
উত্তর: গুজব
১৭৩. আমি সব কিছু জানি, কিন্তু আমায় কেউ জানে না।
উত্তর: গুগল! 😆
১৭৪. গরুর সামনে যায় না, পেছনে যায় না, মাঝখানে পড়ে।
উত্তর: “র” অক্ষর (গ-রু)।
১৭৫. এমন একটি প্রাণী, মাথা নিচে পা ওপরে রেখে চলে।
উত্তর: বাদুড়
১৭৬. এমন একটি জিনিস, লিখি না, পড়ি না, তবুও বইয়ের নাম!
উত্তর: হাতের বই
১৭৭. এমন একটি জিনিস, না দিলে সবাই কাঁদে!
উত্তর: বকশিশ 😆
১৭৮. কানের পাশ দিয়ে যায়, কিন্তু কানে ঢোকে না।
উত্তর: চোখের চশমা
১৭৯. চায়ের মধ্যে ডুবে থাকে, কিন্তু চা হয় না।
উত্তর: চামচ
১৮০. দুধের ভেতর থাকে, কিন্তু দুধ নয়।
উত্তর: মাছির পাখা! 😄
১৮১. এমন একটি গাড়ি, তেল লাগে না, ড্রাইভার লাগে না, কিন্তু চলে।
উত্তর: খেলনার গাড়ি
১৮২. নিজের নাম বললেই ভেঙে যায়।
উত্তর: নীরবতা
১৮৩. যে কল কাঁটার জন্য বানানো!
উত্তর: ছুরি
১৮৪. জলে বাস করে, পাখির মতো ডাকে।
উত্তর: ব্যাঙ
১৮৫. আমাকে একবার বললেই দুইবার শোনা যায়।
উত্তর: প্রতিধ্বনি
১৮৬. দিনে একবার আসে, রাতে হাজার বার!
উত্তর: ঘুম
১৮৭. আমি শুকিয়ে গেলে সবাই কাঁদে।
উত্তর: কলম
১৮৮. জিনিসটা ছোট, নাম তার তিন অক্ষর; লিখলে খুশি, না লিখলে খবর আছে!
উত্তর: নাম
১৮৯. এমন একটি জিনিস, উল্টো পড়লেও একই থাকে।
উত্তর: “নয়ন”, “মাম”, “level” (পালিন্ড্রম)
১৯০. ওজন নেই, কিন্তু পাহাড়কেও চাপা দিতে পারে।
উত্তর: চিন্তা
১৯১. খেয়ে না খেয়ে বাঁচে, কিন্তু খেলে মরে।
উত্তর: আগুন
১৯২. কেউ দেখে না, তবুও ঠিক চলে।
উত্তর: সময়
১৯৩. কোনো ঘর নেই, জানালা নেই, তবুও ভেতরে থাকে সবকিছু।
উত্তর: ডিম
১৯৪. কানে ঢোকে না, চোখে পরে না, তবুও মাথা ব্যথা করে।
উত্তর: পরীক্ষা
১৯৫. এমন একটি শব্দ, শুনলেই সবাই দৌড় দেয়।
উত্তর: আগুন!
১৯৬. মাথা আছে, মগজ নেই, কথা বলে না তবুও গলায় বসে!
উত্তর: টুপি
১৯৭. শুধু একবার আসে, কিন্তু সবাই তাকেই চায়!
উত্তর: সুযোগ
১৯৭ তিন অক্ষরের নাম, খাওয়ার জন্য নয়, ঘুমের জন্য কাম।
উত্তর: খাট
১৯৮ শীতকালে গরম, গরমকালে ঠান্ডা।
উত্তর: কাঁথা
১৯৯. গরু দুধ দেয়, ঘোড়া দৌড়ায়, কুকুর কী দেয়?
উত্তর: কামড়! 😆
২০০. আমি গরম হলে তুমি ঠান্ডা হও।
উত্তর: ফ্যান
২০১. সবসময় দাঁড়িয়ে থাকে, কিন্তু হাঁটে না।
উত্তর: কলমের পয়েন্ট
২০২. রান্নাঘরে থেকে কিচিরমিচির করে, কিন্তু পাখি নয়।
উত্তর: প্রেসার কুকার
২০৩. কাঁদলে সবাই হাসে!
উত্তর: ছোট শিশু 😍
২০৪. সকালবেলা ৪ পায়ে, দুপুরে ২ পায়ে, রাতে ৩ পায়ে চলে।
উত্তর: মানুষ (শিশু, যুবক, বৃদ্ধ)
২০৫. কান আছে, তবু শোনে না।
উত্তর: ঘড়া
২০৬. কখনও আমি বাঁচি, কখনও আমি মরি, আমার নামে এক দিনেরও ছুটি হয়।
উত্তর: শ্রমিক
২০৭. গরুর শিং নেই, তবুও মাথায় শিং বসে।
উত্তর: হেলমেট
২০৮. ছাতা ছুঁলে ভিজে না, ছাতা না ছুঁলে ভিজে যায়।
উত্তর: বৃষ্টি
২০৯. এক ভাই, তার চার বউ, প্রতিদিন একেক বউয়ের কাছে থাকে।
উত্তর: কলম (বিন, সিল, রিফিল, ক্যাপ)
২১০. দুই চোখ দিয়ে দেখা যায়, তবুও অন্ধকার।
উত্তর: রাত
২১১. আমি জীবন্ত না, তবুও রেগে লাল হই।
উত্তর: আগুন
২১২. দুধ ছাড়া চলে না, কিন্তু গাভী নয়।
উত্তর: চা
২১৩. এমন এক ছেলে, যার মা নেই, বাবা নেই, তবুও দেশের নেতা!
উত্তর: পোস্টার/চিত্রনায়ক 😜
২১৪. ছোটবেলায় সাদা, বড় হলে কালো।
উত্তর: কলম/পেন্সিল
২১৫. রঙিন নয়, কিন্তু সবাই রঙিন বানায়।
উত্তর: রংতুলি
২১৬. আমি আসলেই সবাই চুপ হয়ে যায়।
উত্তর: শিক্ষক 😄
২১৭. আমি থাকলে হাসো, আমি গেলে কাঁদো।
উত্তর: আনন্দ
২১৮. আমাকে ফেলার কেউ চায় না, কিন্তু শেষে ফেলেই দেয়।
উত্তর: পুরনো জামা
২১৯. আমার বয়স নেই, কিন্তু সময়ের সাথে বড় হই।
উত্তর: জ্ঞান
২২০. আমি উড়ে বেড়াই, কিন্তু পাখি না।
উত্তর: প্লেন
২২১. জল ছাড়া বাঁচে না, তবুও ভিজলে মরে যায়।
উত্তর: আগুন
২২২. মাথায় থাকে, কিন্তু টুপি নয়।
উত্তর: চুল
২২৩. পায়ে চলে, মুখে গান গায়।
উত্তর: রেডিও
২২৪. রাস্তায় পড়ে থাকে, সবাই মাড়িয়ে যায়, তবুও কাঁদে না।
উত্তর: ইট
২২৫. সারা দিন হেঁটে বেড়ায়, এক জায়গা ছাড়ে না।
উত্তর: ঘড়ির কাঁটা
২২৬. লাল না, নীল না, সব রঙে রঙিন, কিন্তু রং নয়।
উত্তর: টেলিভিশন
২২৭. এমন এক জিনিস, যার নাম বললেই কেটে যায়।
উত্তর: “চুপ” (চুপ বললেই চুপ করে)
২২৮. দুই ভাই ঘাড়ে ঘাড় লাগিয়ে চলে, কিন্তু কথা বলে না।
উত্তর: জুতা
২২৯. মাথা ঘোরায়, তবুও ঘোরে না!
উত্তর: পাখা
২৩০. আমি বড় হলে মানুষ ছোট হয়ে যায়।
উত্তর: ঋণ
২৩১. আমি নেই তবুও সবাই আমার কথা ভাবে।
উত্তর: ভবিষ্যৎ
২৩২. জল ছাড়া তৈরি, তবুও জল পেলে ভালো লাগে।
উত্তর: চা পাতা
২৩৩. আমি থাকলে হাসি, আমি গেলে রাগ।
উত্তর: চার্জার (মোবাইলের 😅)
২৩৪. সবাই টিপে দেখে, কেউ নিয়ে যায় না।
উত্তর: ফল বাজারের কলা
২৩৫. আমি পড়লে সবাই পড়ে, আমি উঠলে সবাই উঠে।
উত্তর: সিঁড়ি
২৩৬. আমি কোথাও যাই না, সবাই আমাকে দেখতে আসে।
উত্তর: সিনেমা
২৩৭. আমি এক জায়গায় দাঁড়িয়ে, সবাই আমাকে দেখে চলে।
উত্তর: সাইনবোর্ড
২৩৮. আমি রেগে গেলে সবাই ভিজে যায়।
উত্তর: আকাশ (বৃষ্টি নামে)
২৩৯. সাদা সাদা দানা, জলে দিলে গলে না, আগুন দিলে উড়ে যায়।
উত্তর: চিনি
২৪০. দিনের বেলায় থাকে না, রাতেই আসে, কিন্তু ভুত নয়।
উত্তর: তারা
২৪১. আমাকে কেউ ভালোবাসে না, কিন্তু দরকার হলে সবাই ডাকে।
উত্তর: পুলিশ
২৪২. বিয়ে হলে আসে, বিয়ে গেলে চলে যায়।
উত্তর: আতর/সুগন্ধি
২৪৩. দুই পা, মাথা নেই, দৌড়ালে সবার আগে।
উত্তর: জুতা
২৪৪. এক চোখে সব দেখে, কিন্তু চোখ নয়।
উত্তর: ক্যামেরা
২৪৫. সবকিছু জানে, তবুও স্কুলে যায় না।
উত্তর: ইন্টারনেট
২৪৬. আমি গেলে সবাই দেখে, আমি থাকলে কেউ দেখে না।
উত্তর: বিদ্যুৎ
২৪৭. আমি হালকা হলে সবাই খুশি হয়।
উত্তর: মাথা 😄
২৪৮ মুখ আছে, কথা বলে না, পানি ছাড়া চলে না।
উত্তর: কল (নলকূপ বা ট্যাপ)
২৪৯. দাঁত আছে, কিন্তু খায় না – কে আমি?
উত্তর: চিরুনি
২৫০. আমি সামনে থাকি, তবুও দেখা যায় না।
উত্তর: ভবিষ্যৎ
শেষ কথা
এই হাসির ধাঁধাগুলি শুধু বিনোদন দেয় না, বরং মননশীলতাও বাড়ায়। আপনি চাইলে এগুলো ছোটদের শেখাতে পারেন, অথবা বন্ধুদের সাথে চ্যালেঞ্জ হিসেবে খেলতেও পারেন। সময় কাটানোর মজার এবং চিন্তার উদ্রেককারী এই ধাঁধাগুলো বাংলা সংস্কৃতিতে এক অনন্য স্থান দখল করে আছে।
হাসির ধাঁধা বাংলা ভাষায় কেবল বিনোদন নয়, এটি মননশীলতা, পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা এবং ভাষাগত কুশলতাও বাড়ায়। পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর এই মাধ্যমটি শিক্ষা ও আনন্দের এক অনন্য মিশ্রণ।