বাজুস আজকের স্বর্ণের দাম কত ২০২৪

বাজুস আজকের স্বর্ণের দাম কত

বাংলাদেশে সোনার দাম জানার আগ্রহ সবার। সোনা শুধু একটি মূল্যবান ধাতু নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই, বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) দ্বারা নির্ধারিত আজকের সোনার দাম, বিশেষ করে ২২ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, এবং ১৮ ক্যারেট সোনার দাম জানা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই নিবন্ধে, আমরা শুধু আজকের সোনার দাম নয়, সোনার ইতিহাস, ব্যবহার এবং বাংলাদেশে সোনার দাম নির্ধারণের পদ্ধতি সম্পর্কেও বিশদভাবে আলোচনা করব।

বাজুস আজকের স্বর্ণের দাম কত ২০২৪

বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন প্রতিদিন সোনার দাম নির্ধারণ করে। আজকের সোনার দাম জানতে চাইলে বাজুসের নির্ধারিত তালিকা দেখতে পারেন। এই তালিকা অনুসারে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ওজনের সোনার মূল্য জানতে পারবেন।

আজকের বাজুস স্বর্ণের দাম

ক্যারেটসোনার দাম (১ গ্রাম)সোনার দাম ( ১ ভরি)
১৮ ক্যারেট৮,৮৬১ টাকা১,০৩,৩৫৪ টাকা
২১ ক্যারেট১০,৩৩৮ টাকা১,২০,৫৮২ টাকা
২২ ক্যারেট১০,৮৩০ টাকা১,২৬,৩২১ টাকা
সনাতন সোনা৭,৩২৬ টাকা৮৫,৪৫০ টাকা

সোনার ইতিহাস প্রাচীন যুগ থেকে বর্তমান

  • প্রাচীন যুগে সোনার ব্যবহারঃ সোনা মানব ইতিহাসের অন্যতম প্রাচীন মূল্যবান ধাতু। প্রাচীন মিশরীয়রা সোনা দিয়ে দেবতাদের মূর্তি তৈরি করত এবং ফারাওদের সমাধিতে সোনার জিনিসপত্র রাখত। এই সময়ে সোনা শুধুমাত্র অলংকার নয়, বরং ধর্মীয় এবং সামাজিক গুরুত্ব বহন করত।
  • মধ্যযুগে সোনার ব্যবহারঃ মধ্যযুগে সোনা ধন-সম্পদের প্রতীক ছিল এবং এটি মুদ্রা তৈরির প্রধান উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হত। সোনার মান এবং মূল্য স্থায়িত্বের কারণে এটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ব্যবহার হত।
  • আধুনিক যুগে সোনার ব্যবহারঃ আজকের দিনে, সোনা শুধু অলংকার এবং মুদ্রা নয়, বরং প্রযুক্তি এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রেও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এর বিদ্যুৎ পরিবাহিতা এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা একে ইলেকট্রনিক্স এবং চিকিৎসা সরঞ্জামে ব্যবহারের জন্য আদর্শ করে তুলেছে।

আধুনিক যুগে সোনার ব্যবহার

  • অলংকারঃ সোনা অলংকারের জন্য এখনও সর্বাধিক জনপ্রিয় ধাতু। বিবাহের ব্যান্ড, নেকলেস, ব্রেসলেট এবং আংটি তৈরিতে সোনা ব্যবহৃত হয়। এটি শুধু সৌন্দর্য নয়, বরং সামাজিক মর্যাদাও বৃদ্ধি করে।
  • বিনিয়োগঃ সোনা দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ হিসেবে পরিচিত। অর্থনৈতিক অস্থিরতার সময় সোনা তার মূল্য স্থায়ী রাখতে সক্ষম হয়, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য এটিকে একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
  • ইলেকট্রনিক্সঃ উচ্চ বিদ্যুৎ পরিবাহিতা এবং ক্ষয়প্রতিরোধী গুণাবলির জন্য সোনা ইলেকট্রনিক্সে ব্যবহৃত হয়। কম্পিউটার, মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য ডিভাইসগুলিতে সোনার অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
  • চিকিৎসাঃ সোনার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যগুলি এটি চিকিৎসা ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়। কিছু ওষুধ এবং চিকিৎসা সরঞ্জামে সোনা ব্যবহার করা হয়।

সোনার দাম নির্ধারণ বাজুসের ভূমিকা

বাংলাদেশে সোনার দাম নির্ধারণের দায়িত্ব বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) উপর। বাজুস সোনার দাম বাড়াবে বা কমাবে সে সিদ্ধান্ত নেয়। সোনা কেনার আগে বাজুসের নির্ধারিত দামের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিৎ। বাজুস বাংলাদেশের সোনার ব্যবসায়ীদের জন্য একটি শক্তিশালী সংগঠন। এটি সোনার মান নিয়ন্ত্রণ এবং সোনার ব্যবসায়ীদের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে। বাজুস বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে, যেমন:

  • নিয়মিত সভা ও কর্মশালা আয়োজন
  • প্রশিক্ষণ প্রদান
  • সোনার মান পরীক্ষা
  • মেলা ও প্রদর্শনী আয়োজন
  • সরকারের সাথে নীতিগত আলোচনা
  • আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে যোগাযোগ

সোনার পরিমাপ

সোনার দাম পার্টের মান অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। উচ্চ পার্টের সোনা বেশি খাঁটি এবং মূল্যবান। উদাহরণস্বরূপ, ২৪ ক্যারেট সোনা ১০০% খাঁটি, যেখানে ২২ ক্যারেট সোনা কিছু পরিমাণে অন্য ধাতুর সঙ্গে মিশ্রিত থাকে। সোনার পরিমাপের জন্য বাংলাদেশে দুটি প্রধান পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়: ভরি এবং আউন্স।

ভরি

ভরি বাংলাদেশে সোনার পরিমাপের সবচেয়ে সাধারণ একক।

  • ১ ভরি = ১৬ আনা = ৯৬ রতি।
  • ১ আনা = ৬ রতি।
  • ১ ভরি = ১১.৬৬৪ গ্রাম।

আউন্স

আন্তর্জাতিকভাবে সোনার পরিমাপের জন্য আউন্স ব্যবহার করা হয়।

  • ১ আউন্স = ২.৪৩০৫ ভরি = ২৮.৩৮৯৫ গ্রাম।
  • ১ ভরি = ০.৪১১৪ আউন্স।

শেষ কথা

এই নিবন্ধে আমরা বাংলাদেশে আজকের সোনার দাম, সোনার ইতিহাস, এবং সোনার বিভিন্ন ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করেছি। সোনা শুধু একটি মূল্যবান ধাতু নয়, বরং এটি আমাদের সংস্কৃতি এবং অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বাজুসের নির্ধারিত দামের উপর ভিত্তি করে সোনা কেনার আগে ভালভাবে চিন্তাভাবনা করা উচিৎ। আপনি আমাদের প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সর্বশেষ সোনার দাম এবং বাজুসের নির্ধারিত মূল্যের উপর ভিত্তি করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। এই নিবন্ধে উল্লেখিত বিষয়গুলি আপনাকে বাংলাদেশে সোনার মূল্য এবং বাজুসের ভূমিকা সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা প্রদান করবে। আপনি সোনার দাম সম্পর্কে আরও জানতে আমাদের অন্যান্য পোস্টগুলো পড়তে পারেন।

বাংলাদেশে সোনার দাম জানার আগ্রহ সবার। সোনা শুধু একটি মূল্যবান ধাতু নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই, বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) দ্বারা নির্ধারিত আজকের সোনার দাম, বিশেষ করে ২২ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, এবং ১৮ ক্যারেট সোনার দাম জানা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই নিবন্ধে, আমরা শুধু আজকের সোনার দাম নয়, সোনার ইতিহাস, ব্যবহার এবং বাংলাদেশে সোনার দাম নির্ধারণের পদ্ধতি সম্পর্কেও বিশদভাবে আলোচনা করব।

বাজুস কী?

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (BAJUS) হলো একটি অলাভজনক বাণিজ্যিক সংগঠন যা দেশের স্বর্ণ শিল্পের উন্নয়ন ও প্রসারের জন্য কাজ করে। এটি ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং বাংলাদেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের একটি শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে বিবেচিত হয়।

বাজুসের সদস্য কারা?

বাজুসের সদস্যরা হলেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের স্বর্ণ ব্যবসায়ী।

বাজুসের কার্যক্রম কী কী?

বাজুস বিভিন্ন ধরণের কার্যক্রম পরিচালনা করে, যার মধ্যে রয়েছে:
নিয়মিত সভা ও কর্মশালা আয়োজন
প্রশিক্ষণ প্রদান
স্বর্ণের মান পরীক্ষা
মেলা ও প্রদর্শনী আয়োজন
সরকারের সাথে নীতিগত আলোচনা
আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে যোগাযোগ

বাজুসের উদ্দেশ্য কী?

বাজুসের উদ্দেশ্য হলো:
দেশের স্বর্ণ শিল্পের উন্নয়ন ও প্রসার
স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে ঐক্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধি
স্বর্ণের মান নিয়ন্ত্রণ
গ্রাহকদের অধিকার রক্ষা
সরকারের সাথে যোগাযোগ স্থাপন এবং নীতি নির্ধারণে অংশগ্রহণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top